শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর থেকে:করোনার বিধি-নিষেধ তুলে নেয়ায় তিন বছর পর শ্রমিকদের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির প্রধান ফটক।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টা এক মিনিট থেকে আগের মতো ফটক উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। এখন থেকে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা ওই ফটক দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।
বড়পুকুরিয়া শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি জাকির হোসেন এ বিষয়ে বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গত তিন বছর ধরে বন্ধ ছিলো খনির প্রধান ফটক। বিশেষ নির্দেশনা ছাড়া এই ফটক খোলা হতো না কখনোই। কোয়ারেন্টাইনের মধ্যদিয়ে শ্রমিকদের কাজে যোগদান করতে হতো। ১৫ দিন বা এক মাস পর শ্রমিকরা বাইরে বের হতে পারতেন। এতে শ্রমিকরা ইচ্ছা করলেও স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না। তখন থেকে খনির প্রধান ফটক উন্মুক্ত রাখার জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন শ্রমিকরা। শনিবার দিনগত রাত ১২টা এক মিনিটে ওই ফটক সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষ।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির মাইনিং জিএম জাফর সাদিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে করোনা প্রাদুর্ভাব শূন্যের কোটায় থাকায় এবং শ্রমিকদের কাজের সুবিধার্থে উচ্চ পর্যায়ের সিন্ধান্ত অনুযায়ী খনির প্রধান ফটক উন্মুক্ত রাখার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৫ মাস আগেও খনিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলো বেশ কয়েকজন। একারণে বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন কার্যক্রম। এখন খনি সংশ্লিষ্ট সকলেই সুস্থ্য আছেন।তাই বিবেচনা করে কাজের সুবিধার্থে উন্মুক্ত করা হয়েছে,প্রধান ফটক।