ঢাকারবিবার , ২রা এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. এসএমই
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. তারুণ্য
  13. নারী
  14. পরিবেশ
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডেঙ্গু কেন দুশ্চিন্তার কারন?

Ashraful Karim
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ ১২:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডা. শফিকুল ইসলাম
ডেঙ্গু বর্তমান সময়ের সবচেয়ে পীড়াদায়ক রোগের একটি। এই জ্বরে আক্রান্ত শিশুরা একদিকে যেমন দূর্বল হয়ে পড়ে অন্যদিকে এর রেশ শরীরে থেকে যায় দীর্ঘদিন। তবে ডেঙ্গু প্রাণঘাতি কোনো রোগ নয়। বিশ্রাম ও নিয়মমাফিক চললে এ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণত পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চলতে হবে। যাতে ডেঙ্গুজনিত কোনো মারাত্মক জটিলতা না হয়। অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু না ঘটে।
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে এবং এই ভাইরাসবাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে হয়ে থাকে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি ৪ থেকে ৬ দিনের (৩-১৩ ক্ষেত্রে) মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটি ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গু কেন দুশ্চিন্তার কারন, এ বিষয়ে কথা হয় ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ও গ্রীন হেলথ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ডা. শফিকুল ইসলাম এর সঙ্গে, তিনি বলেন, বছরের এই সময়টায় বিশেষ করে শিশুরা অধিক পরিমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হসপিটালে ভর্তি হচ্ছে। মৃত্যু ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই।
সাধারনত টাইফয়েড ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের সুনির্দিষ্ট ঔষধ থাকার কারনে নির্দিষ্ট সময়ে সেরে যায়, কিন্তু ডেঙ্গু ভাইরাসের সুনির্দিষ্ট ঔষধ না থাকায় ডেঙ্গুর ট্রিটমেন্ট হচ্ছে লক্ষণ ভিত্তিক এবং সাপোরেটিভ (Supportive) অর্থাৎ যখন যে সমস্যা হয় তখন তার ট্রিটমেন্ট করাতে হয়। যেমন জ্বর হলে জ্বরের ঔষধ, কাশি হলে কাশির ঔষধ, ব্যথা হলে ব্যথার ঔষধ, রুচি কমে গেলে জিংক খাওয়াতে হবে।
ডেঙ্গু রোগির ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরী বিষয় প্রপার ফলোয়াপ যেমন, নিয়মিত প্রস্রাবের পরিমান খেয়াল করা, শিশু অতিরিক্ত দুর্বল হচ্ছে কিনা লক্ষ রাখা, বাচ্চার প্রেসার বার বার মনিটর করা, বাচ্চার রক্তের অন্যান্য উপাদানের তারতম্য খেয়াল করা।
যেহেতু ডেঙ্গুর সুনির্দিষ্ট ঔষধ নেই তাই বড় আকার ধারন করলে এর চিকিৎসা জটিল হয়ে পরে। সুতরাং ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে এবং চিকিৎসকের নিয়মিত তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।
ডা. শফিকুল ইসলাম
এমবিবিএস (শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল)।
সহকারী রেজিস্ট্রার (শিশু বিভাগ)
ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা, প্রতিষ্ঠাতা-গ্রীন হেলথ সেন্টার।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
%d bloggers like this: