মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন
রানা,রামগড়(খাগড়াছড়ি)
পার্বত্য খাগড়াছড়ি রামগড় পৌরসভাধীন দক্ষিণ গর্জন তলী ৩নং পৌর ওয়ার্ডে অবস্থিত হামিদিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক কতৃক মোঃ রাসেল আহমেদ নামে এক ছাত্র বলৎকারের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বলৎকারের শিকার হওয়া মোঃ রাসেল (১৪) এর সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত মাদ্রাসায় সে এক বছর ধরে পড়াশোনা করতেছে, বর্তমানে রাসেল হেফজ বিভাগের ছাত্র। মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লাহ বাহার তাকে হাত পা টিপতে বলতো এক পর্যায় কিছু দিন পূর্বে রাসেলকে সে বলৎকার করে এবং গত ১৪ আগস্ট রবিবার তাকে পুনরায় বলৎকার করলে সে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ মাওলানা মোবারক হোসেনকে বিষয়টি জানান, বলৎকারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লা বাহার পালিয়ে যান।
মাদ্রাসা সুত্রে জানা গেছে, শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বাহার চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার হলুদিয়া সৈনিক পাড়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। ১বছর ধরে অত্র মাদ্রাসায় হাফেজ হিসেবে সে চাকরি করছেন।
রাসেল আরো জানান, বলৎকার কাজে বাঁধা দিলে তাকে নানা রকমের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নিয়মিত ভাবে বলৎকার করে আসছে। বর্তমানে রাসেল খুবই অসুস্থ ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ছে তার পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে ও ভীষন পেটে ব্যাথা অনুভব করছে। ঘটনাটি সত্যি বলে মাদ্রাসার সকল ছাত্র জানিয়েছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লাহ বাহারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
উক্ত বিষয়েটি রাসেল তার মাকে জানালে, মা মাদ্রাসার কমিটির কাছে বিচার দিলে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ বসে ধামাচাপা দেন বলেও জানান।
দক্ষিণ গর্জন তলীর স্থানীয় বাসিন্দা এবং মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক এবং দুঃখজনক অভিযুক্ত শিক্ষককে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা হোক।
রামগড় দক্ষিণ গর্জন তলী হামিদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোবারক হোসেন জানান, ছাত্র রাসেল বলৎকারের বিষয়টি আমাকে আজ জানিয়েছেন আমাকে জানানোর পর শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লাহ বাহার টেরপেয়ে সে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, আমি কমিটির সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসবো, এবং শিক্ষক হাফেজ হাবিবুল্লা বাহারকে কিভাবে আইনের আওতায় আনা যায় সে ব্যবস্থাই করা হবে।