সৌদি আরবে প্রবাসীদের ব্যবসা—বাণিজ্য ফিরেছে আগের রূপে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। দেশীয় রেস্তোরাঁ ও নিত্যপণ্যসহ বিভিন্ন দোকানে বাড়ছে ক্রেতাসমাগম।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে সৌদি আরবে শুরু হয় নানা বিধিনিষেধ। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন দেশটিতে বিভিন্ন ব্যবসায় সম্পৃক্ত বাংলাদেশিরা। পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় অনেকের প্রতিষ্ঠান। হোটেল—রেস্তোরাঁয় পার্সেল ব্যবস্থা চালু থাকলেও আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি অনেকে।
তবে নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে কোনো রকমে টিকে থাকা ব্যবসায়ীরা এবার লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। সৌদি আরব করোনার বিধিনিষেধ সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ায় দেশটির পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। ফলে বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রেতাসমাগম আগের মতো বাড়ছে।
এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে স্বল্প সময়ে করোনাকালীন আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সৌদি আরবে এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জীবনযাত্রা পুরোপুরি স্বাভাবিক। তাই দোকানপাটে বেচাকেনাও বেড়েছে। ফলে ব্যবসা—বাণিজ্য আগের অবস্থানে ফিরছে।
সৌদি প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ব্যবসা খাত আগের অবস্থায় ফিরলে দেশে রেমিটেন্সপ্রবাহ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে গত জানুয়ারিতে অতিসংক্রামক ওমিক্রনের প্রভাবে সৌদি আরবে করোনা আক্রান্তের হার দ্রুতই বাড়তে শুরু করে। সে সময় সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. মোহাম্মদ আল—আবদ আল—আলাই জানান, করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে আমাদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। লোকজনের করোনার পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া দরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এ ছাড়া মাস্কপরা, নিয়মিত হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান ডা. মোহাম্মদ আল—আবদ।
মহামারি শুরু হওয়ার পর লাখ লাখ মানুষকে সহায়তা করতে সৌদি আরবজুড়ে বিভিন্ন পরীক্ষা ও চিকিৎসাকেন্দ্র বসানো হয়েছে। দেশটিতে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদেরও।