জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণের লক্ষ্যে অবিচল থেকে যে মানুষগুলো বাংলাদেশের কৃষি এবং ফার্মাসিউটিক্যাল খাত নিয়ে কাজ করছেন কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান (শ্যামল) তাঁদের মধ্যে অন্যতম। গুণী এই মানুষটি একজন সফল উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ওয়ান ফার্মা লিমিটেড অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং বিশ্বমানের ঔষধ তৈরির মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় অনবদ্য অবদান রেখে চলেছে। ওয়ান ফার্মা লিমিটেড গুণগত মানসম্পন্ন ঔষধ তৈরির পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষ যাতে স্বল্প মূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং চিকিৎসা সামগ্রী পায় সে ব্যাপারেও সচেষ্ট ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঔষধ রপ্তানি করছে। একনিষ্ঠ চিন্তা, অধ্যবসায় এবং লক্ষ্যে ছুটে চলার প্রত্যয়ের কারণেই কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান আজ অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের মূল কেন্দ্রে বিরাজ করছেন। দারিদ্রতা দূরীকরণ, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষমতায়নসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে গত ৩০ বছর ধরে নেয়া তার উদ্যোগসমূহ আজ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে।
কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তোফিজুর রহমান শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক সম্পন্ন করে একটি খ্যাতনামা বেসকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর জার্সি, ইউকে-তে অবস্থিত কলেজ অব প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্ট থেকে গ্রুপ ডিপ্লোমা ইন ম্যানেজমেন্ট (করেসপনডেন্স) ডিগ্রি অর্জন করেন।
পারিবারিকভাবেই তিনি বড় হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শুরুতেই তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শেকৃবি শাখার সভাপতি বাবু শংকর কুমার গাস্বোমীর পৃষ্ঠপোষকতায় কিষাণ থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। কিষাণ থিয়েটারের মূল লক্ষ্য ছিল নাট্যকলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নতুন ছাত্রদের প্রগতিশীল মুক্তচিন্তার বিকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমগ্র জীবন তিনি ঐ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শেকৃবি শাখার সভাপতি বাবু শংকর কুমার গোস্বামী এবং ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল ওয়াহাব মিয়া যথাক্রমে কিষাণ থিয়েটারের আহ্বায়ক এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিষ্ঠিত গ্রুপ অব কোম্পানিজ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশের কৃষি এবং অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান ‘রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৪’ অর্জন করেন। এছাড়া ২০১৩ সালে তিনি ‘কমার্শিয়ালি ইম্পর্টেন্ট পার্সন-২০১৩’ হিসেবে নির্বাচিত হন। তাঁর কাজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে গ্লোবাল অন্টাপ্রিনিউয়ার গ্রিড প্রবর্তিত ‘গ্লোবাল অন্টাপ্রিনিউয়ার পদক-২০১৯’ অর্জন করেন।
স্বনামধন্য কৃষিবিদ হিসেবে কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের একজন আজীবন সদস্য।
কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্বাস করেন, এসব ব্যক্তিগত অর্জন সবই বৃথা হয়ে যায়, যদি না নিজের দেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে না পারেন। এই ভাবনা থেকেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অর্থাৎ ২০২০ সালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ছবি দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার নির্মিত এই শস্যচিত্র বর্তমানে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস্ স্বীকৃত বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র। এই শস্যচিত্রের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নাম আরেকবার উচ্চকণ্ঠে উচ্চারিত হলো, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু চিত্রায়নের কাজটি সম্পন্ন করার জন্য ৪১ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়, যার আহ্বায়ক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সদস্য সচিব ও মুখপাত্র ছিলেন কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান। কমিটির অন্যান্য সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বারসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছিলেন। কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার এর এমন সব অভিনব উদ্যোগের বাইরে তারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর মুখপত্র ‘উত্তরণ’-এর পৃষ্ঠপোষকতাও করে আসছে, যা প্রতিষ্ঠানটির জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। সফল ব্যবসায়ী, সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তা এবং কৃষিবিদ পরিচয়ের বাইরেও কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান একজন সমাজসেবক হিসেবে নিজেকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সৈয়দ মোমেনা মনতাজ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজ সম্পন্ন করার জন্য নিয়মিত বৃত্তি প্রদান করা হয়। সর্বশেষ শিক্ষা বছরে ১২ জন মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের পিএইচডি গবেষণার জন্য এই ফাউন্ডেশন থেকে বৃত্তি পেয়েছেন।
কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান এর পারিবারিক আদর্শ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান এর পিতা মরহুম সৈয়দ জামান খন্দকার এবং মাতা মোমেনা বেগম। তিনি ৩১শে অক্টোবর ১৯৬৪ সালে বগুড়া জেলার বর্তমান সোনাতোলা তৎকালীন সারিয়াকান্দি থানার পাকুল্লা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান-এর পিতা সরাসরি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির ও বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। মরহুম সৈয়দ জামান খন্দকার শুরু থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আঞ্চলিক পর্যায়ে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন এবং ১৯৭০ সালে বাংলাদেশের অভ্যুত্থ্যান ও স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নির্বাচনে তিনি থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত পালন করেন। সঙ্গতকারণেই তিনি পারিবারিক- ভাবে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর রাজনৈতিক দর্শন দ্বারা প্রভাবিত। তাঁর বড় ভাই বীর মুক্তিযাদ্ধো মরহুম খন্দকার মোঃ মকবুল হোসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের হৃদয়বিদারক পটপরিবর্তনের পরও বীর মুক্তিযুদ্ধা মরহুম খন্দকার মোঃ মকবুল হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। সুদীর্ঘ ৫৬ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্যে বহুবার তাঁকে মামলা হামলার সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং কারাবরণ করতে হয়েছে। বীর মুক্তিযাদ্ধো মরহুম খন্দকার মোঃ মকবুল হোসেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং মিরপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্ব প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর একনিষ্ঠ সমর্থক কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মানবতার জননী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।