খেলাধুলা ডেস্ক
২০০৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালল করেছিলেন জেমি সিডন্স। ২০২১ সালের শেষদিকে তাকে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিযুক্ত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পরবর্তীতে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন এ অস্ট্রেলিয়ান। তবে ১১ বছর পর ফিরে আসার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে সিডন্সের দ্বিতীয় অধ্যায়ের স্থায়িত্ব বেশিদিন থাকল না। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে আর কাজ করতে দেখা যাবে না তাকে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে সিডন্সের সম্পর্কও ছিন্ন হচ্ছে না। মূল দলের সঙ্গে কাজ না করলেও তিনি বাংলাদেশের এ দল এবং টাইগার্স টিমের হয়ে কাজ করবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেমি সিডন্স বলেন, “সংক্ষিপ্ত ছুটির পর ঢাকায় ফিরেছি। জাতীয় দলের সঙ্গে আমি আর কাজ করব না, কারণ আমার মনে হয় বিসিবিকে আমি সেরাটা দিতে পারি পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করে, যেন জাতীয় দলের পাশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের দেখভাল ভালোভাবে করা এবং দেশের জন্য পরবর্তী সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য তাদের প্রতিটি দিন উন্নতি করা নিশ্চিত করা যায়।”
৫৯ বছর বয়সী সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার আরও বলেন, “তরুণ ক্রিকেটারদের স্কিল নিয়ে কোচিং করানো আমি ভালোবাসি এবং বিসিবিও এটা চায়, এজন্যই এটা সম্ভব করতে পেরেছি। জাতীয় দলে কাজ করলে খ্যাতি বেশি এবং সেটিও আমি পছন্দ করি, কিন্তু স্কিল গড়ে তোলা, উন্নতি এবং অনুশীলন হয় নেটে এবং মিরপুরের নেটে প্রচণ্ড গরমে ঘাম ঝরিয়ে। ‘এ’ দল ও টাইগার্সের হয়ে ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।”
২০০৭ সালের অক্টোবরে প্রথম দফায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের মূল কোচের দায?িত্ব গ্রহণ করেন সিডন্স । ২০১১ সালের আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিনি পদত্যাগ করেন। তার অধীনে চার বছরে বড় দলের বিপক্ষে দেশ-বিদেশে বেশ কয়েকটি ওয়ানডে সিরিজ জেতা ছাড়াও ব্যাটিং বিভাগে তামিম-সাকিবরা যথেষ্ট উন্নতি করেছিলেন।
গত বছরের আগস্টে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ঘোষণা দেন এখন থেকে জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটারদের নিয়েই বেশি কাজ করবেন সিডন্স। এরপর থেকে সেটিই বেশি হয়ে আসছিল। তবে এর ফাঁকে জাতীয় দলের সঙ্গেও নিয়মিত কাজ করছিলেন তিনি। এবার জাতীয় দলে তার সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি।