আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের চেন্নাই বিমানবন্দর ১৯৩০ সালে চালু হয়েছিল। এবার তৈরি করা হলো নতুন টার্মিনাল। নানা রকমের শিল্পকর্ম দিয়ে সাজানো হয়েছে টার্মিনালের অন্দরসজ্জা। নানা রয়েছে আলোর রকমারি বাহার। চেন্নাই বিমানবন্দরের নবনির্মিত টার্মিনাল দেখলে তাক লেগে যেতে বাধ্য।
শনিবার চেন্নাই বিমানবন্দরের এই নবনির্মিত টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চেন্নাইয়ের উন্নয়নে এই টার্মিনাল গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে আগেই টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
নতুন টার্মিনালের হাত ধরে স্থানীয় অর্থনীতির ভিত আরও মজবুত হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন মোদি। পাশাপাশি বিমান সেবার ক্ষেত্র আরও মসৃণ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২ লাখ ২০ হাজার ৯৭২ বর্গমিটার জুড়ে রয়েছে তৈরি হয়েছে এই নতুন টার্মিনাল। বিমানযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে এখানে। নতুন টার্মিনালের ফলে চেন্নাই বিমানবন্দরে যাত্রীধারণ ক্ষমতা আরও বাড়বে। বছরে ২ থেকে ৩ কোটি যাত্রী এই টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
চেন্নাই বিমানবন্দরের এই নতুন টার্মিনালে রয়েছে ১০৮টি
অভিবাসন কাউন্টার। টার্মিনালে রয়েছে ৮০টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬টি সেলফ ব্যাগেজ ড্রপ কাউন্টার। এছাড়াও রয়েছে ৮টি সেলফ চেক-ইন স্টেশন। রয়েছে ১৭টি লিফট, ১৭টি চলমান সিঁড়ি ও ৬টি ব্যাগেজ রিক্লেম বেল্ট।
নতুন টার্মিনালের ফলে চেন্নাই বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা আরও মসৃণ হবে বলে দাবি করেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতি ঘণ্টায় ৪৫টি বিমান ওঠানামা করতে পারবে এই বিমানবন্দরে।
যত্ন করে সাজানো হয়েছে টার্মিনালের অন্দরসজ্জা। রয়েছে নানা শিল্পকর্ম। ওই শিল্পকর্মে রয়েছে স্থানীয় তামিল সংস্কৃতির ছোঁয়া। বিভিন্ন রকম শিল্পকর্মের পাশাপাশি রকমারি আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে টার্মিনাল। যার ফলে আরও ঝলমলে দেখতে হয়েছে চারপাশ।
টার্মিনালটি তৈরি করতে এক হাজার ২৬০ কোটি ভারতীয় রুপি খরচ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ভারতের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর চেন্নাই। ত্রিশুলামে রয়েছে এই বিমানবন্দর। ভারতের ষষ্ঠ ব্যস্ততম বিমানবন্দর এটি। ১৯৩০ সালে চালু হয়েছিল চেন্নাই বিমানবন্দর। ৯৩ বছর পর এই ব্যস্ততম বিমানবন্দরে নতুন ঝাঁ-চকচকে টার্মিনাল তৈরি করা হলো।