তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
মোবাইল ফোনের কারণে জীবনমান উন্নত হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের ৫৯ শতাংশ নারী ও ৫০ শতাংশ পুরুষ। এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে গ্রামীণফোন রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সম্প্রতি এশিয়ার আটটি দেশে আট হাজার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর সমীক্ষাটি চালায় টেলিনর এশিয়া। টেলিনরের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এ সমীক্ষা চালানো হয়।
‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ শীর্ষক এ সমীক্ষার ফলে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে পাঁচটি বিষয় তুলে ধরা হয়।
সমীক্ষা থেকে দেখা যায়, ‘অলওয়েজ-অন’ অর্থাৎ সবসময় সক্রিয় থাকবেন, এমন জীবন-যাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বেশিরভাগ মানুষ। বাংলাদেশের ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন মোবাইল ব্যবহার করার মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটেছে। সব মিলিয়ে এক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আছেন। এ অঞ্চলে জীবনের মান
বিশেষভাবে উন্নত হয়েছে প্রসঙ্গে ৫২ শতাংশ পুরুষের তুলনায় ৬৩ শতাংশ নারী ইতিবাচক জবাব দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশে মোবাইলফোনের কারণে তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে মনে করেন ৫৯ শতাংশ নারী ও ৫০ শতাংশ পুরুষ।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইয়র্গেন সি অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ। ব্যবহারকারীদের জন্য আরও বেশি অর্থনৈতিক সুযোগ, দৈনন্দিন সুবিধা ও প্রয়োজনীয় সেবায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে কি-ট্রেন্ডগুলোর সাথে কীভাবে কানেক্টিভিটি সম্পর্কিত, তা মূল বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি।
মূল্য বক্তব্যের পর একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত ফলগুলোর ওপর আলোচনা করেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, বাংলাদেশে ইউএনডিপি’র ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান নুয়েন এবং চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার ড. আসিফ নাইমুর রশিদ প্যানেল ডিসকাশন পরিচালনা করেন।