পাইকগাছায় নগদ টাকা ও তাস খেলার সরঞ্জাম সহ ৩ জুয়াড়িকে পুলিশ আটক করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক সুভাষ রায় জানান, সোমবার রাতে গোপন সংবাদে উপজেলার গড়ুইখালী ইউনিয়নের বানবাড়িয়া গ্রামে সিদ্দিকের তরমুজ ক্ষেতের কুড়ে ঘরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সোলাদানা ইউনিয়নের আবুবক্কর সানার ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান (৪৩) একই ইউনিয়নের নুনিয়া পাড়া এলাকার নিতাই পদ সরদারের ছেলে অমৃত সরদার (৩৭) ও গড়ইখালী ইউনিয়নের বাইনবাড়িয়া এলাকার কৃষ্ণপদ মন্ডলের ছেলে কৌস্তব মন্ডল (২৫) কে আটক করা হয়। তাদেে নিকট থেকে নগদ টাকা ও তাস খেলা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, আটক জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গুটি বেগুন
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
গুটি বেগুন অপ্রচলিত একটি ফল । গুটির মতন দেখতে সবুজ রঙের ছোট ছোট ফল। আমাদের চারপাশে জন্মানো একটি অতিপরিচিত উদ্ভিদ। পথে-ঘাটে, মাঠে জন্মাতে দেখা যায়। এ উদ্ভিদটির গাঢ় সবুজ পাতা, গাছের ডালে হালকা ছোট কাটা আছে। গাছে সাদা শুভ্র ফুল ধরে চৈত্র মাসে। সাদা ফুলের পাঁপড়ির মাঝে থাকে হলুদ পুং ও স্ত্রী কেশর।গাছ ছয় থেকে দশ ফুট উচু হয়।গাছে রোগ-বালাই কম হয, গাছটি অনেক দিন বাচে ।এজন্য এগাছে বড় জাতের বেগুন ও টমেটা গ্রাপটিং করা হয়।এতে অনেক দিন ধরে ফল পাওয়া যায়।অঞ্চল ভেদে এ উদ্ভিদ বিভিন্ন নামে পরিচিত। গুটিবেগুন,কল্টি বেগুন,বুনোবেগুন,বুনবুড়ি বেগুন ইত্যাদি।পৃথিবীতে এর অন্তত ২৬ টি প্রজাতি জন্মায় বলে জানা গেছে। ভারতীয় উপ-মহাদেশে এর বেশ কয়েকটি প্রজাতি আছে। এ ছাড়া একই গোত্রের অন্তর্ভূক্ত বেগুন গাছের সাদৃশ্যের আরেকটি প্রজাতির দেখা মেলে। বিভিন্ন অঞ্চলে সবজি হিসেবে রান্না করে খেতে দেখা যায়। এর ভর্তা ও ভাজি খুব সুস্বাদু।এর ফলে ঔষধীগুণ আছে। অ্যালার্জি সমস্যা, কাঁশি ও হাপানি সমস্যা, রক্ত পরিষ্কার করতে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে, গ্যাসট্রিক সমস্যায়, গুড়ো ক্রিমি দুর করতে গুটি বেগুন ব্যাবহার করা হয়। যশোর, সাতক্ষীরা,খুলনার উপকূলীয় এলাকার পথে-ঘাটে, বন বাদাড়ে অবহেলা অনাদরে গুটি বেগুন গাছ জন্মাতে দেখা যায়।