লালমোহন তজুমদ্দিনের নিবেদিত প্রাণ আওয়ামী লীগের কর্মীরা আজ এলাকা ছাড়া অথবা টানছেন জেলের ঘানি। হাইব্রিডরা এসে দলীয় পদ পদবী দখল করার পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর চলে নির্যাতন নিপীড়ন এবং চলে রাজনীতি বিমুখ করার প্রক্রিয়া।
এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ বাবুল হাওলাদার। বাবুল হাওলাদার পারিবারিক ভাবেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
১৯৯২ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন খালেদা জিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করলে বাবুল টিভিতে লাথি মেরে টিভি ভেঙে ফেলে। সেই ঘটনায় তৎকালীন সরকার তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা করে এবং তিনি দীর্ঘ ২৩ মাস কারাবরণ করে।
২০০১ পরবর্তী সময়ে সারা দেশে যখন বিএনপি জামাতের নির্যাতন চলছিলো তখন এর শিকার হন বাবুল হাওলাদার। একাধিক বার হামলার শিকার হন। তখন ৭ মাস ১৩ দিন কারাবরণ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দীর্ঘ দিন ধরে ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন উত্তর যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ এবং বক্তৃতায় পারদর্শী শিক্ষানুরাগী ভোলা জেলার আওয়ামী লীগ নেতাদের অত্যন্ত স্নেহভাজন এবং ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন সহ সমগ্র লালমোহন উপজেলায় তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা।
স্থানীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের গত কয়েক বছরের কর্মকান্ড এবং অপরাজনীতির কারনে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হওয়া অত্যাচার জুলুমের প্রতিবাদ করলে তার সাথে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে যুবলীগ সভাপতির পদও তাকে হারাতে হয়। আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে বিভিন্ন বক্তৃতা বিবৃতি দিতে থাকলে এমপি শাওন তাকে পদ-পদবি এবং অর্থের প্রলোভন দেন। এগুলো অগ্রাহ্য করে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ক্লিন ইমেজের নেতাদের পক্ষে তার অবস্থান ব্যক্ত করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে বলেন নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের চেয়ে ইঞ্জিনিয়ার স্বপন, মেজর (অবঃ) জসিম এবং ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার তুলনামূলক অনেক ভালো ইমেজের প্রার্থী। এদের যে কাউকে মনোনয়ন দিলে ভোলা-৩ এ দলের জন্য ভালো হবে।
তার এই দৃঢ় অবস্থানের ফলে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং তার সহজ সরল মা কে থানায় এনে কৌশলে মামলা করান।
৬ মার্চ রাতের একটি ঘটনা পুরো ভোলা জেলা কে নাড়িয়ে দিয়েছে। ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন উত্তর যুবলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি বাবুল হাওলাদার ফেসবুক লাইভে আসার কারনে এমপি শাওন ক্ষুব্ধ হয়ে তার সন্রাসী বাহিনী এবং পুলিশ দ্বারা কুঞ্জের হাট তার আত্বীয়র বাসা থেকে তুলে এনে বেধড়ক মারধর করে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং তার সারা শরির রক্তে ভিজে যায়। জ্ঞান হারালে তাকে লালমোহন হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ডাওরী বাজারে নিয়ে পুনরায় নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে রাত ৩ টার পরে তাকে লালমোহন থানায় নেওয়া হয় এবং ৪ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। উল্লেখ্য যে উক্ত বাবুল হাওলাদার লাইভে আসে রাত ১১.৪৪ মিনিটে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয় ১.৩০ মিনিটে মাদকের মামলা দেওয়া হয় ৩.৩৫ মিনিটে। বাবুল হাওলাদারের বিরুদ্ধে যেখানে গত ১৪ বছরে কোন মামলা নাই সেখানে মাত্র ১৩ ঘন্টার মধ্যে তার বিরুদ্ধে কোন রকম তদন্ত ছাড়াই ৪ টি মামলা করা হয় এবং তাকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়। বাবুল হাওলাদার কে তুলে আনার সময় সেই বাসার জিয়াউর রহমান এবং বেড়াতে আসা জিয়াউর রহমানের শ্বশুর ইউসুফ এবং বাবুল হাওলাদারের ছাত্র আল আমিনকেও তারা তুলে নিয়ে আসে তাদেরকে একই কায়দায় অমানবিক নির্যাতন করে এবং উল্লেখিত মাদক মামলায় জড়িত করে চালান দেয়।
এমপি শাওনের দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ক্যাসিনো, নিয়োগ বানিজ্য, ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের নির্যাতন সম্পর্কে যেই কথা বলছে তার বিরুদ্ধে সে দমন নিপীড়নের সর্বোচ্চ কঠোরতা এবং নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে।
এলাকাবাসী এই ধরনের নিষ্ঠুরতার অবসান চায়।