নিউজ ডেস্ক
পর্যটনের বিকাশে বিভিন্ন দেশ নানা কলাকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব বুদ্ধিস্ট ট্যুর অপারেটরের সাধারণ সম্পাদক কৌলাশ কুমার। তিনি বলেন, ‘অন্যরা বিভিন্ন প্রক্রিয়া ও সূত্র কাজে লাগিয়ে পর্যটনের বিকাশ করছে। বাংলাদেশেকেও বিভিন্ন সূত্র কাজে লাগিয়ে এগোতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার টু সরকার বা জিটুজি প্রক্রিয়ায় একে অন্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে অভ্যন্তরীণ পর্যটন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ট্যুরিজম আগে বিটুসি সূত্র বজায় রাখত, পরে বিটুবিতে চলেছে। এখন জিটুজি সূত্রে চলছে। সরকার এবং সরকার একসঙ্গে কাজ করে ট্যুরিজমকে উন্নত করতে হবে, সমৃদ্ধ করতে হবে।
কৌলাশ কুমার বলেন, ‘ট্যুরিজম শিল্পকে উন্নত করার জন্য এটি সূত্র বজায় রাখতে হবে। এইচ৩+এনএসি অর্থাৎ, এইচ৩ দিয়ে হোটেল-হস্পিটালিটি ও হস্পিটাল বোঝায়। এন- নেচার; এ- এগ্রিকালচার ও সি দিয়ে কালচারকে বোঝানো হয়। এই খাতগুলো যতো উন্নত করা যাবে, পর্যটন শিল্প ততো উন্নত হবে।’ তিনি আরও বলেন , মহামারি করোনায় সারা বিশ্বের সব দেশ যখন পর্যটন শিল্পে ক্ষতির সম্মুখীন ছিল, সে সময়েও মালদ্বীপ পর্যটনে লাভে ছিল।’ পর্যটন শিল্পের আধুনিক জ্ঞানে শিক্ষার্থীদের আলোকিত করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের যারা ভবিষ্যৎ, অর্থাৎ আমাদের শিক্ষার্থীদের বাইরের দেশে পাঠাতে হবে, শেখার জন্য; দেখার জন্য। তবে এই পর্যটন শিল্প আরও উন্নত হবে’- যোগ করেন কৌলাশ কুমার।
দেশের বৃহত্তম পর্যটন মেলা ১১তম ফার্স্ট ট্রিপ ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) ২০২৩’ চলছে, যা চলবে শনিবার (৪ মার্চ) পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। মেলায় প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। তবে ছাত্র-ছাত্রী ও মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য মেলায় প্রবেশ উন্মুক্ত। আন্তর্জাতিক এই মেলার আয়োজন করছে দেশের পর্যটন শিল্পের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। এবারের মেলার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ফার্স্ট ট্রিপ। মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, এফ.বি.সি.সি.আই এবং বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ।