ঢাকারবিবার , ২রা এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. এসএমই
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. তারুণ্য
  13. নারী
  14. পরিবেশ
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নারী উদ্যোক্তা এবং ক্ষমতায়নের প্রাসঙ্গিকতা

Ashraful Karim
মার্চ ৯, ২০২৩ ৩:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!


যদিও বাংলাদেশে এখন নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতি সমাজের নানা ক্ষেত্রে ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু নারী উদ্যোক্তা হিসেবে এখনো অনেক পথ পেরোতে হবে। সার্বিক মনোযোগের বিশেষ প্রয়োজন। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সমন্বিত ও গঠনমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হবে তা নিশ্চিত, শুধু সময়ের ব্যাপার। উদ্যোক্তা হিসেবেও নারীরা হতে পারে সফল এবং সামাজিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে রাখতে পারে বিশেষ অবদান। উদ্যোক্তা কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা কীভাবে নিজেদের ক্ষমতায়ন কিংবা তাদের পরিবারকে সহায়তা করতে এবং বৃহত্তর অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে তার একটি সহজ আলোকপাত করার চেষ্টা করবো এই লেখায়। যে সকল বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বসহকারে মনোনিবেশ করতে হবে তার কয়েকটি দিকের কথা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব।
একজন নারীর স্ব-মূল্যবোধ-আত্মসম্মান আমাদের সমস্ত বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যদিও এটি অন্যদের দ্বারা মূল্যায়ন থেকে আসে, তবে প্রাথমিকভাবে আসে একজনের ক্ষমতার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস থাকার কারণে। আমাদের প্রত্যেকেরই এমন একটি বিশেষ গুণ আছে যা অন্যের মধ্যে নেই। আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে, প্রতিটি মানুষই একটি মূল্যবান এবং অসাধারণ সৃষ্টি। যখন আমরা নিজেদের মধ্যে সৌন্দর্য এবং সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হই তখনই আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্রুটিগুলো সম্পর্কেও সজাগ থাকতে হবে। জীবন কখনও কখনও যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আশা করে তার পরিসীমা আয়ত্ত করা প্রায়শই কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু তাই বলে আমাদেরকে থামলে চলবে না। স্থবিরতা অগ্রগতির প্রতিকূলে। মানসিকভাবে ইতিবাচকতা এবং দৃঢ় প্রত্যয়ী চিন্তা-চেতনার ধারণ, লালন এবং অনুশীলন করতে হবে। এতে করে আমাদের দুর্বলতা এবং অসম্পূর্ণতার ওপর ফোকাস করা সহজ হয়। আমাদের ব্যক্তিগত বস্তুনিষ্ঠতার জন্য সংগ্রাম করতে হবে প্রতিনিয়ত। সঙ্গে সঙ্গে এও উপলব্ধি করা প্রয়োজন যে আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে এমন অনন্যতা এবং প্রতিভা রয়েছে যা আমাদেরকে অসাধারনত্বে রূপান্তরিত করে তোলে। তাইতো মানুষ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জীব “আশরাফুল মাখলুকাত”। তাই আমাদের ভালোবাসায় অসারতার কোন স্থান নেই, মানুষ হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই সমাজ ও জাতীর জন্য একটি ইতিবাচক এবং উদ্দেশ্যমূলক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের সমাজে এমন অনেকেই আছেন যারা অন্যকে ছোট করতে বা হেয় করার মধ্যে পরম আনন্দ খুঁজে পান। সে ক্ষেত্রে আমাদের বুঝতে হবে যে এটি আমাদের দোষ নয়, বরং তাদের চরিত্রের একটি ত্রুটি, এবং আমাদের অবশ্যই এই ধরনের আচরণের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য অভ্যন্তরীণ শক্তি খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে এবং এ জাতীয় আচরণ যেন আমাদেরকে নিরাশ করতে না পারে সেদিকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। দৃঢ়তা এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিস্থাপকতায় সময়ের প্রয়োজন। অবশ্যই, এমন কিছু সময় আছে যখন একজন ব্যক্তি অপমানিত এবং এমনকি একাকিত্ব বোধ করে কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই ছোট ছোট আঘাতমূলক অপমান এবং অন্যের দ্বারা হেয় বা নিগৃহীত হওয়ার যন্ত্রণাকে তুচ্ছ করে পুনরায় জীবন যুদ্ধে মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। প্রতিটি দিন আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিজয়ের মূল্যায়ন করতে হবে, সামান্য জয় এবং আনন্দ যা বেঁচে থাকা এবং এগিয়ে চলার শক্তি। আমরা কে, আমরা কী করতে পারি তা নিয়ে গর্বিত হওয়া অপরিহার্য, তা যতই ছোট এবং আপাতদৃষ্টিতে অপ্রয়োজনীয় হোক না কেন। আমাদের স্ব-মূল্যবোধকে লালন করার মাধ্যমে, আমরা আমাদের ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস গড়ে তুলতে পাড়ি এবং এর মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস আসে। একবার আমরা নিজেদেরকে বিশ্বাস করতে পারলে, জীবনে ইতিবাচক এবং উদ্দেশ্যমূলক ভূমিকা পালন করার জন্য আমরা আরও প্রত্যয়ী এবং দূর্বার হবো। নিজকে জাগিয়ে তোলার এর চেয়ে বড় শক্তি আর কোথায় আছে।
একজন নারীর পছন্দ করার এবং নির্ধারণ করার অধিকার- নিঃসন্দেহে, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়, বিশেষ করে, সমাজের সাংস্কৃতিক প্রত্যাশা আর বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতিতে। যদিও পিতৃতান্ত্রিক সমাজে, বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু সেখানেও সর্বদা আত্ম-উন্নতির সুযোগ থাকে। যত বেশি শিক্ষিত এবং আত্ম-প্রত্যয়ী নারী সমাজে বসবাস করবে, ততো বেশি করে তারা আরও ভালভাবে তথ্য অধিগমন করতে এবং তাদের অধিকারগুলো সম্পর্কে ভালভাবে বুঝতে পারবে। যদিও কিছু রক্ষণশীল সমাজে নারীদের জন্য স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত কিছু ভূমিকা রয়েছে, কিন্তু নারীরা তাদের অধ্যবসায়, শিক্ষাগত ক্ষমতায়ন এবং উদ্যোক্তা কার্যকলাপের মাধ্যমে একটি ভিন্ন মাত্রার অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে, যা পারিবারিক প্রত্যাশার বিপরীতে যাবে না বরং তা হবে পারিবারিক সমৃদ্ধ এবং সম্প্রীতির পরিপূরক। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিশ্বায়নের অভূতপূর্ব উন্ননের যুগে, নারী ক্ষমতায়নে, আন্তর্জাতিক আইনে, আরও বেশি সংখ্যক নিয়ম এবং সুরক্ষাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা শুরু হয়েছে এবং রাষ্ট্রগুলোকে সেগুলো সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তবে এটা অস্বীকার করা বোকামি হবে যে নারী ক্ষমতায়নের ব্যাপরটি জটিল নয়; এখনো আমাদের দেশে অনেক পরিবার ছেলেদের শিক্ষায় বিনিয়োগ করতে পছন্দ করে বা মেয়েদের প্রশিক্ষণ নেয়া থেকে নিরুৎসাহিত করে যা ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের দিকে পরিচালিত করবে। প্রায়শই একটি প্রত্যাশা থাকে যে কর্মরত মেয়েরা যারা একবার বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাদের ক্যারিয়ার ছেড়ে দেয়ার আশা করা হয়। নারী ও মেয়েদেরকে পিছিয়ে রাখা হচ্ছে এবং সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে, তবুও আমরা যদি একটু ভালো করে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই একটি সামাজিক পরিবর্তন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে । সুযোগ এবং সম্পদ অধিগমনের অধিকার- একটি ন্যায্য এবং ন্যায়সঙ্গত সমাজ সবার জন্য সমান সুযোগ প্রদান করে। বাস্তবে, বিভিন্ন গোষ্ঠী প্রায়শই সুবিধাবঞ্চিত হয় এবং প্রায়শই দেখা যায় যে তাদেরকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া এবং যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। যদিও সমাজের নানা ক্ষেত্রেই বর্তমানে নারীর ক্ষমতায়নে ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে কিন্তু তা এখনো তুচ্ছ। নারীদেরকে প্রায়শই পরিবারের বাইরে সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করা হয়। যে সকল নারী উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন তারা প্রায়শই তহবিল এবং মূলধন সংগ্রহ করা কঠিন বলে মনে করছেন, তা তাদের নিজস্ব পরিবার বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকেই হোক না কেন। সামাজিকভাবে কিছু পেশাকে শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য উপযুক্ত হিসেবে দেখা হয়, তবুও ক্রমবর্ধমানভাবে নারীরা তাদের যোগ্যতা প্রদর্শন করছে এবং নানা রকম ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। দুঃখজনকভাবে, তাদেরক অজ্ঞতা এবং কুসংস্কারের সম্মুখীন হতে হয় এবং কিছু পুরুষ কখনো এই ধ্রুব সত্যটিকে মেনে নিতে পারছে না যে একজন মহিলা তাদের মতোই একই ভূমিকা পালন করতে পারে এবং সুযোগ ও সুস্থ পরিবেশ অনুকুলে থাকলে নারীরা যে কোন পুরুষের চেয়েও ভাল করতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন সাহস, সংকল্প এবং আত্মবিশ্বাস। কেউ অনুগ্রহ বা অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার জন্য আশা পোষণ করছে না; শুধুমাত্র সমস্ত নারীদের সমান সুযোগের নিশ্চয়তা চাচ্ছে।
বাস্তবে, বিশ্বব্যাপী সম্পদের ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে, যা অগ্রগতির মাত্রাকে বাধা দিতে বাধ্য। কিন্তু সৌভাগ্যবশত, বিনামূল্যে অনলাইন কোর্সসহ শেখার নতুন পথ উন্মুক্ত হতে শুরু করেছে। সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো এই নারী ক্ষমতায়নে বিশেষ ভুমিকা রাখছে। সুযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হতে পারে এবং প্রায়শই দুষ্প্রাপ্য। তবে সন্দেহ নেই যে আমাদের দেশের নারীরা এখন আর আগের মতো পশ্চাৎপদ নয়। তারাও এগিয়ে চলেছে দূর্বার গতিতেই, নারীরাও তাদের অধিকার উপলব্ধি করতে শুরু করেছে। এইভাবে, তারা ধীরে ধীরে সামাজিক পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে নিঃসন্দেহে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য খুলে দিবে সুযোগের দরজা। নারীদের রয়েছে জীবন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা -সহজ সত্য হলো যে এটি প্রায়শই একটি আকাক্সক্ষা হিসেবেই থেকে যায়। এখন পর্যন্ত তার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়নি। কন্যা, বোন এবং স্ত্রীরা প্রায়ই তাদের যা করার অনুমতি দেওয়া হয় তার মধ্যে বেশ সীমাবদ্ধতা খুঁজে পায়। ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা, তারা কার সঙ্গে কথা বলতে পারবে কিংবা পারবে না এবং আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার ক্ষমতাকে সীমিত করাসহ অনেক ক্ষেত্রেই নারীদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়তে হয়। একজন নারী যত বেশি শিক্ষিত, তার তত ভালো বিকল্প থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবে এটি সর্বদা হয় না, এবং এমন অনেক নারীর উদাহরণ রয়েছে যারা ন্যূনতম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন অথচ ছোট ব্যবসায়ী হিসাবে তাদের পথ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন এবং এইভাবে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের পাশাপাশি ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা অর্জনে সফল হয়েছেন। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি আর অবাধ সম্ভাবনার যুগে অনেক মায়েরাই তাদের মেয়ে সন্তানদের জন্য আরো ভালো সুযোগ সৃষ্টিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং সক্রিয়ভাবে পুরনো অভ্যাসগুলোকে প্রতিরোধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সৌভাগ্যক্রমে, এর ফলে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক পুরুষ আরো আলোকিত হয়ে উঠছে, যা সামাজিক পরিবর্তন এবং নারীদের সার্বিক ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যদিও এটি স্বীকার করা অপরিহার্য যে আরও অনেক কিছু করতে হবে এবং পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই বাপারে কাজ করতে হবে। একটি সামাজিক পরিবর্তন অনস্বীকার্য। কাউকে অন্য কারো সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বলতে দেয়া উচিত নয়। যে কোনো সীমাবদ্ধতা সংজ্ঞায়িত হবে আপনার দ্বারা। সমস্যাগুলো বরং আমাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে, তাই এ নিয়ে নেতিবাচক মনোভাবের কারণ নেই। অতএব, আমাদের সকলকেই দৃঢ় নৈতিকতা এবং আশাবাদের সঙ্গে একটি ইতিবাচক এবং স্বাধীনচেতা মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠতে হবে। তাহলেই নারীর ক্ষমতায়নের পথটি আরো উš§ুক্ত এবং সুগম হবে। নারীর সত্যিকারের ক্ষমতায়নের মধ্যেই বেড়ে উঠুক জাতীয় অগ্রগতি এবং সার্বিক সমৃদ্ধি। পরিশেষে আমরা সকলেই এই শতাব্দীর জয়গান করি যেখানে নারীরা হয়ে উঠুক আরো সুন্দর এবং স্বাধীন:
হে আমার শতাব্দী
তুমি নারীর প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত হয়েছ
উচ্চস্বরে আমরা তার প্রশংসার গান গাই
পৃথিবী সুখী এবং সুন্দর হতে পারে
যেখানে নারীরা স্বাধীন এবং সুন্দর।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
%d bloggers like this: